ইউক্রেনের মারিওপোল বন্দরনগরীতে রুশ বাহিনীর হামলার সময় বেসমারিক নাগরিকরা প্রাণভয়ে যে মসজিদটিতেও আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেটিতেও গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনের শহরটিতে রুশ সেনারা তীব্র গোলাবর্ষণ করার সময় এই ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানায়, মারিওপোলের সুলতান সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট এবং তার স্ত্রী রক্সোলানা (হুররেম সুলতান) মসজিদে রুশ হানাদাররা গোলাবর্ষণ করেছে। ওই মসিজিদে ৮০ জনের বেশি শিশু ও তুর্কি নাগরিকসহ ৮০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তবে কখন এই গোলাবর্ষণ করা হয় তা ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়নি। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, রুশ আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনে অবস্থানরত নিজ দেশের নাগরিকদের বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে তুরস্ক।

এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ চাভুশওলু বলেন, এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭১৯ তুর্কি নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মারিওপোল বন্দরে আটকা পড়া সাধারণ মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে একটি মানবিক করিডোর খোলার বিষয়ে আলোচনা করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে এ আলোচনায় কোনো সফলতা আসেনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও পানিপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।